নিজস্ব প্রতিবেদক :
ভোলাহাট(চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি: সরকার ২০২১/২২ অর্থ বছরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার অসহায় দুস্থ নারীদের সাবলম্বী করতে ২ লাখ ২৫ হাজার সেলাই মেশিন ২৭জন উপকার ভোগীর মাঝে বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বেঁকে বসে দোষ চাপাচ্ছেন অন্যের ঘাড়ে।
ভোলাহাট উপজেলা প্রকৌশলি মোঃ আছহাবুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা যায়, নারীদের সেলাই মেশিন বিতরণে নিয়ম মেনে যাবতীয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়। কিন্তু সেলাই মেশিনগুলো যথা সময়ে বিতরণ করা হয়নি। উপজেলা প্রকৌশলি মোঃ আছাবুর রহমান ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবরে যোগদান করেন। এর পর থেকে সেলাইমেশিন বিতরণের জন্য বার বার উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসাঃ শাহানাজ খাতুনকে অনুরোধ করা হয়।
কিন্তু তিনি কারাগারে থাকায় এবং অন্যান্য জটিলতায় সেলাই মেশিগুলো বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে ২৭টি সেলাই মেশিনের মধ্যে ১৩টি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিজেই বিতরণ করেন। বাঁকী ১৪টির মধ্যে ৯টি উপজেলা চেয়ারম্যান বিরতণ করেন। বাঁকী ৫জন উপকার ভোগী সেদিন না আসাই পরবর্তীতে তাদের দিয়ে দেয়া হয়। সম্প্রতি বিভিন্ন মিডিয়ায় মোসাঃ মিম আক্তার, মোসাঃ চারমিস খাতুন, মোসাঃ সুরমা, মোসাঃ আফরোজা খাতুন, মোসাঃ রাশিদা খাতুন ও মোসাঃ সালেহা খাতুন বক্তব্য দিয়েছেন, উপজেলা প্রকৌশলি তাদের ডেকে ছবি তুলে স্বাক্ষর নিয়েও সেলাই মেশিন দেয়া হয়নি।
কিন্তু তাদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিজেই সেলাই মেশিন বিতরণ করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, উল্লেখিত ব্যক্তিদের কোন ক্রমেই উপজেলা প্রকৌশলির দপ্তর হতে ফোন করে ডেকে পাঠানো হয়নি বা তাদের ছবি তোলা হয়নি। বরং উল্লেখিত বক্তব্য প্রদানকারী ব্যক্তিরা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের বোন, ভাবী ও পাড়া প্রতিবেশী। অর্থাৎ অভিযোগকারী প্রত্যেক মহিলাই তার নিকট আত্মীয়। সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এরূপ সংবাদ প্রকাশিত করা উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে জানানো হয়।
মোসাঃ মিম আক্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অসংগতিমূল কথাবার্তা বলেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আমাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে সেলাইমেশিন দিয়ে ছবি তুলে কোথায় চলে গিয়েছিল। মেশিন না পেয়ে বাড়ি চলে যায়। পরে যোগাযোগ করলে দেখছি বলেন তিনি।
এব্যাপারে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসাঃ শাহানাজ খাতুনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভোলাহাট উপজেলার সবাই আমার আত্মীয়। তবে বোন ভাবীর বিষয়টি এড়িয়ে যান। তিনি আরো বলেন, মিম আক্তারের যে ছবি আছে সেটি অন্য প্রকল্পের বা এডিট করা।
ছবিক্যাপশনঃ ভোলাহাট উপজেলা প্রকৌশলি মোঃ আছাবুর রহমানের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
Leave a Reply